শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজারে শহরের বিশিষ্ঠ পর্যটন উদ্যোক্তা এম সায়েম ডালিমের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী আজ। করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ৫ জুন সন্ধ্যায় উখিয়া আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছিল। সকল স্থরের মানুষের প্রিয় মুখ ডালিমের অকাল মৃত্যুতে কক্সবাজার জেলার মানুষের মনে ধাক্কা লেগেছিল। স্বল্প বয়সে করোনায় হেরে যাওয়া সদা হাস্যোজ্জল সম্ভাবনাময়ি পর্যটন উদ্যোক্তা এম সায়েম ডালিমের নানা গুনের কথা এখনো মানুষের মুখে মুখে।
এম সায়েম ডালিমের সৃজনশীলতা, রুচিবোধের চর্চা, সামাজিক বৈষম্য, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে সোচ্ছারের পাশাপাশি ছিল পরিবেশ প্রেমী। ২০২০ সালের ৫ জুন (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসেই তার মৃত্যু হয়েছিল। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন পর্যটন ব্যবসার এক অগ্রদূত। তার চালচলন ও কথাবার্তা বরাবরই অনুজদের আকর্ষণ করত।
বিস্ময়কর বিষয় হলো- ৫ জুন ছিলো মরহুম এম সায়েম ডালিমের পিতা জয়নাল আবেদীনের মৃত্যু বার্ষিকীও। ২০১৬ সালের ৫ জুন তার মৃত্যু হয়। এম সায়েম ডালিমের পিতা মরহুম জয়নাল আবেদীন ছিল অবসরপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা। তার দাদা মরহুম হাফেজ জমির উদ্দিন ছিল বাহারছড়া জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব।
তার মৃত্যুতে পারিবারিকভাবে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এম সায়েম ডালিম ২০২০ সালের ২৫ মে ঈদের দিন থেকে জ্বর, কাশি ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকে চারদিন পর্যন্ত ওষুধ সেবন করে। ওষুধ সেবন করার পরও ১০৩/১০৪/১০৫ জ্বর উঠানামা করে। জ্বর না কমায় ৩০ মে করোনার পরীক্ষা নমুনা দেন। ২ জুন তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তাই তাঁকে উখিয়া করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলার পরও অবস্থার আরো অবনতি হয়। তাই শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। এর আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
ভয়েস/আআ